30 Nov 2015

কাগজের এরোপ্লেন


কাগজের এরোপ্লেন । একটা নয় । দশ-বারোখানা । বানাতে বানাতে দুই পেগ ততক্ষণে শেষ । ব্লেন্ডারস্ প্রাইড নিয়ে কি আর থাকা যায় ?! তোমার প্রাইড বা কী নিয়ে শুনি আগে ? জানো না তো । হা হা হা । আমিও জানি না কীসে প্রাউড ফিল করি । পিয়ারলেস ভবনের সামনে যে অল্পঠাণ্ডার ভীষণ হাওয়া খেলে সেই হাওয়ায় কী এমন আছে ? দশটা এরোপ্লেনের মধ্যে একটা না দুটোমাত্র ওড়ে রাজভবন থেকে শহীদ মিনার অবধি । বাকীসব পায়ের কাছে টলোমলো খেয়ে পড়ে । 

টেবিলের তলায় কুড়ে পাওয়া এরকম একটা কাগজের ভাঁজ খুলে দেখি বার্ ডান্সারদের শরীরীভাষায় লেখা কিছু অজানা কাহিনী । চাইনিজের মতো ততটা অবোধ্য নয়, নর্থ ইন্ডিয়ানের মতো ততটা রিচ নয় । পেটে সয় এমন নৃত্য, প্রাণে সয় এমন নারীসৌষ্ঠব । আমরা কয়েকজন মিলে বধির, তবু আমাদের কান সোজা গিয়ে পড়ে ওদের শরীরে ।

ওদের খোলা বগল আমাদের তিরিশ মিলিলিটারের সমান । একটাও চুল নেই তাই চুমুকের পর চুমুক চলে নিশ্চিন্তমনে । আমরা ধরে নিই যে পাইলট হয়ে চালাচ্ছি । কী চালাচ্ছি হুঁশ নেই, তবে যাত্রীসংখ্যা নেহাত কম নয় । পাশের টেবিল থেকে যেন শোনা যাচ্ছে প্রকৃত পাইলটের বাউলিয়ানা । ককপিট হঠাৎ করে মাতোয়ারা হলে যা হয় । কাগজের শেষ ভাঁজটুকু না খুললে এতোকিছু ঘটতো না বইকি । 

বিল চলে আসে । কাগজের বিল । মাথার এ-পাশ ও-পাশ কাটিয়ে এরোপ্লেন ওড়ে । সেটাও কাগজের । প্রথমটার জন্যে বন্ধুরা আছে । দ্বিতীয়টার জন্যে শিল্পীহাত দুটো আছে যা কখনো থামে না । ভুল করলেও ।

No comments:

Post a Comment