12 Sept 2016

থাকতে চেয়েছিলাম চুপ করে


থাকতে চেয়েছিলাম চুপ করে
এরা কিন্তু তাই থাকতে দেয় নি
আমি অনুপম রায় নই
এরা আমার মুখে খোদাই করে দিয়েছে
দাঁতসুদ্ধু হাসি ।


অভিনয় জানি না
এবং দাঁতগুলো ধবধবে সাদা নয় বলে
হাসিটা হাসিই ছিলো,
সাজানো ছিলো প্রকৃত হাসিই
দাঁত ও ঠোঁটের বৈঠকে । 


তিস্তার ফ্রকের কোলে রাখা
ধূসর পাথরগুলো খুব জোর হেসেছিলো
আমাকে দেখে
হাসিমুখে অপেক্ষা করছিলাম
আত্মকথা শোনার জন্য । 


কার আত্মকথা ? তিস্তার নয়,
ওই পাথরগুলোর আত্মকথা ।
তিস্তা হাসে নি তো
আমাকে দেখে, সে শুধু
ফেলে দিয়েছে পাথরগুলো তার ফ্রক ঝাড়িয়ে ।


একটা পাথর কুড়িয়ে নিলাম
আরেকটা নিলাম, আরো দুটো
আরো আরো
এদের আত্মকথা নিশ্চয় আলাদা আলাদা
এই ভেবে ভেবে শেষ হয়
ধূসর পাথর কুড়োনো ।


জানি না কেন হাসি নেই তিস্তার মুখে
বরং এতো কৌতূহল তার চোখে
তার কারণ আমার হাসি নয়
এই পাথর কুড়োনো জীবনটাও কি আমার !
এটাই বোধহয় তাকে একটু ভাবালো । 


হেসে নিলাম আবার, আরো কিছু সময় নিয়ে
এরপর তো থাকতে হবে চুপ করে
আমার আত্মকথা বেশ পরিষ্কার আসে
চুপ করে থাকার ভিতর দিয়ে
পাশাপাশি মিলিয়ে দেখবো ওদের আত্মকথাও ।

5 Sept 2016

ট্রেনে চড়া ভুলে গেছি


কলকাতার বুক ছেড়ে মেঠো রাস্তা ধরে দৌড়চ্ছে আমার ছোটোবেলা । তার সাথে পাল্লা দিয়ে ট্রেন ছুটে চলছে পাশের রেললাইন ধরে । কে আগে পৌঁছাবে মামাবাড়ি ? বোধ হয় আমার ছোটোবেলা । দেখতে দেখতে ট্রেন একসময় পেছনে পড়ে যায় । দিদা আমার মামাবাড়িতে থাকতেন । এখন উনি আর নেই । ট্রেনে চড়া ভুলে গেছি ।

কাউকে কিডন্যাপ করার প্ল্যান করি


কাউকে কিডন্যাপ করার প্ল্যান করি মাঝেমাঝে । টাকাপয়সার জন্য নয় । প্রিয়জনের প্রতি মানুষের শর্তহীন ভালোবাসা আমাকে মুগ্ধ করে দেয় । সেইজন্যে । কিন্তু একটা মুভিতে দেখলাম একজন জার্নালিস্টকে কিডন্যাপ করা হয়েছিলো, পরে জানা যায় তার ফ্যামিলি তার মুক্তিপণ দিতে রাজি নয়, বরং মেরে ফেললে খুশি হয় । কিডন্যাপারদের চোখেমুখে তাই একইসাথে বিস্ময় ও বিরক্তির মারকাটারি ছাপ ।

কফিরঙা এক যুবতী


কফি খেতে ভালোবাসে অনেকে । কফির কালচে বাদামী রং অনেকের ভীষণ প্রিয় । কফি থেকে ওঠা গন্ধধোঁয়া অনেকের নাকে আসে একেকটা সুখবরের মতো । কালকে দেখলাম কফিরঙা এক যুবতীকে । আমার চোখ তৎক্ষণাৎ 'অনেকের' মতো হতে না পেরে তফাতে সরে যায় ।

ধর্ষণের চেনা মুখ


ভার্জিনিটি ধরে রাখা এখন একটা প্রাচীনপন্থা । লুকোচুরি খেলতে খেলতে কুমারীকাল পেরিয়ে আসা আজকাল সমাজের নতুন শিহরণ । এই দুটোর মাঝে পড়ে যেটা জল থেকে উঠে আসা মাছের মতো কাতরাচ্ছে, তার নাম আমি অনেক ভেবেচিন্তে দিই 'ধর্ষণের চেনা মুখ' ।

হাড় চিবোতে চিবোতে


হাড় চিবোতে চিবোতে গোটা একটা পৃথিবীর ছবি ভেসে ওঠে । পৃথিবীটা কিভাবে শেষ হতে চলছে তার একটা নকসা সাজানো থাকে সেইসব চিবিয়ে ফেলে দেওয়া হাড়গুলোতে । কেউ আর দেখে না আবর্জনা বলে । নিরামিষাশী হয়ে পৃথিবীকে আরেকটু কাছ থেকে দেখার উপায় যে নেই ।