31 Dec 2014

প্রি আর পোস্ট


২০১৫ [বুকডন দিতে দিতে] : আচ্ছা প্রিদা, আমার খুব টেনশন হচ্ছে !

২০১৪ [মরা ব্যাঙের মত চিৎ হয়ে] : কেন রে পোস্ট ? কিসের টেনশন আবার তোর ? আরো কটা বুকডন দে তো দেখি । 

২০১৫ : ধুৎ ! তোমার এই হাল দেখে আমার কেমন একটা ইয়ে লাগছে । বুকে গুরগুর করছে, পেট ধড়ফড় করছে, মাথাটা ঝিঁঝিঁ করছে, পা দুটো ভন ভন...

২০১৪ [তড়াক করে উঠে বসে] : বেশি বুকডন দিয়ে ফেলেছিস নাকি ? এবার একটু পজ্ দে ।

২০১৫ [বুকডন থামিয়ে] : আর পারছি না দাদা ! কি যে হবে আমার ? এক বছর ধরে তোমার উপরে যা ঝুড়োঝাপ্টা গেলো, তাতে তুমি পুরোচ্যাপ্টা হয়ে আছো । আমি হয়তো এক মাসের বেশি টানতে পারবো না । 

২০১৪ [পোস্টের কাছে গিয়ে বসে] : ইসস কি সুন্দর চেহারাখানা বানিয়েছিস ! সারা ক্যালেন্ডারজুড়ে ঝলমল করছে । চারটে কোয়ার্টারের প্রতিটা একদম মাপে মাপে আছে দেখছি । পুরো সেক্সি মাল তো ! এ অবস্থায় ভয় পেলে চলবে কি ভাই ? 

২০১৫ [বিনয়ী সেজে] : প্রিদা ভুলে যেও না যে তোমার চেহারাটাও এই বছরের শুরুতে অবিকল আমার মতই ছিলো । আর এখন দেখছি শুষ্ক কাঠি বানিয়েছো । দেখলে মনে হয় মৃগীরুগী

২০১৪ [পোস্টের কাঁধে হাত রেখে] : হা হা হা, আর বলিস না ! আসলে ওই অমুকের জীবনটা ভারী গোলমেলে । তবুও কিছু দাগ কাটতে পেরেছে আমার গায়ে । সেগুলো মনে রাখার মত । নো ডাউট !

২০১৫ [কাঁধ ঝাঁকিয়ে প্রি-এর হাত সরিয়ে] : সরি ! অমুকের জন্যে স্টার্ট করলে আমার গাঁড় নিমিষে ফেটে চৌচির হয়ে যাবে । তাই আমি আজ দুপুরে 'Year for whom (Kolkata, WB, India, South Asia)' রেজিস্ট্রেশন ফর্ম থেকে বালটার নাম কেটে অন্য একজনের নাম দিয়ে রেখেছিলাম । এই দেখো সেই ফর্মটা...

২০১৪ [ফর্মে একবার চোখ বুলিয়ে পোস্টের মাথার পেছনে চাঁটি মেরে] : আলফাল বলে ন্যাকাস না । তুই দেখছি অমুককে ছেড়ে কামুককে ধরলি ! অমুকের দোষটা কি ? ওই যে তমুক আছে না সে বা কি করেছে যে তাকেও মনে পড়ে না ? বা শামুক ? এদের সকলকে ছেড়ে শেষে কামুক ? তোকে কে গ্যারান্টি দিলো যে কামুকের লাইফটা তোর সারা গা মোটা মোটা দাগে ভরিয়ে দেবে ? নাকি তুই চাইছিস প্রতি কোয়ার্টারে সে এমন টাকা কামুক, এমন সুখে কামুক, এমন চূড়ান্ত সাকসেস কা মুখ যে তোর এই চেহারাখানি বছরের শেষে ফুলে ফেঁপে থাকুক ? ননসেন্সের একশেষ !

২০১৫ [নিজের মাথায় হাত বুলোতে বুলোতে] : আমি কিন্তু ওকে নিয়ে হান্ড্রেড পার্সেন্ট সিওর । কারণ তার সেই ২০১৪ বছরটার সাথে আজকের সকালে আলাপ হয়েছিলো । উফফ কি যে চাকচিক্য চেহারা দেখলাম ওই বর্ষদার আজকের এই শেষদিনেও । সারা গা থেকে গজিয়ে উঠেছে অসংখ্য দাগা-প্রদাগা । প্রতিটা দাগ একটা করে সাকসেস-স্টোরি দিয়ে বেঁধে রাখা । আড্ডাছলে তার মুখ থেকে কত-কি-গল্প শুনলাম ! আহা সব স্বপ্নের মত ! ভোলা যায় না সেই সব ।

২০১৪ [হতবাকের ভান করে] : তাই ?

২০১৫ [ট্রিপল উত্তেজিত হয়ে] : ইয়েস প্রিদা ! আর জানো সেই বর্ষদা আমাকে তার সেই রেজিস্টার্ড কামুকের নাম নিতে বললো অমুক-তমুক-শামুক বাদ দিয়ে । তাহলে আমি একটা প্রকাণ্ড দাগাছ হয়ে যাবো বছরের শেষে । কি বলো দাদা ?

২০১৪ [চিন্তিত মুখ করে] : হুঁ ! ইন্টারেস্টিং ! কিন্তু পোস্ট...

২০১৫ [তিতিবিরক্ত হয়ে] : কিন্তু কি ? আমি বলছি...

২০১৪ [মুচকি হেসে পোস্টকে থামিয়ে] : আমি জানি তুই কি বলবি ? কিন্তু আমি একজন প্রয়াত বর্ষদাদার কাছে শুনেছিলাম আমার এই রেজিস্টার্ড অমুকের কথা । সেই বর্ষদাদার রেজিস্ট্রি হয়েছিলো ৩ বছর আগে । আর বছরের শেষেও ওই দাদাকে কিন্তু বেশ হাসিখুশি দেখাচ্ছিলো । তবে তোর বড়লোকি চালবাজ বর্ষদার মত ভাগ্যবান না হলেও বেশ ভদ্রস্থ স্টেটে ছিল । এমনকি তোর এই বর্তমান অবস্থার চেয়েও বহুগুণ বেটার । আই মিন ইট ! বিলিভ ইট অর নট !

২০১৫ [মাথা চুলকোতে চুলকোতে] : তাই নাকি ? শালা তাহলে তোমার এই অবস্থা কেন হল ?

২০১৪ [আঁতেল সেজে] : হিসেবনিকেশের শুধু বাপ-মা কেন, কেউ নেই । ভাগ্যের চাকা টিউবলেস হতে পারে, আবার নাও পারে । তোর এখনকার চেহারা মেইনটেন করার জন্যে যেমন কোনো ডায়েটচার্ট বানানো নেই, তেমনি দাগ কাটার পেন কেনার দরকার নাও পড়তে পারে । সব-ই তোর ওই কামুকের নিজস্বী থুড়ি সেলফি যার কোনো কনস্ট্যান্ট ইমপ্যাক্ট নেই । উঃ...

২০১৫ [চমকে গিয়ে] : কি হল দাদা তোমার ?

২০১৪ [ম্লান হেসে] : আবার কি হবে ? আমার আয়ু শেষ হতে আর কতক্ষণ ! জানিস তো ব্যাটা সব ! আমার বা তোর কারোর জন্ম নেই, শুধু ছাপমারা একটা নির্দিষ্ট সময়কাল আমরা । তবে আছে অকালমৃত্যু ও তার উৎসবপালন । একটু পরেই আমার ওই প্রিয় অমুক ড্রিংক করবে কয়েকজন বন্ধু মিলে । ওটাই আমাকে মেরে ফেলার সুন্দর পরিকল্পনা । ওই দ্যাখ দ্যাখ অমুকের হাতে গ্লাস । তা পোস্ট বল কি করছে তোর ওই কাম-উঃ...

২০১৫ [কাঁদো কাঁদো মুখ করে] : প্রিদা ! আমার ভীষণ কষ্ট হচ্ছে ! তোমাকে এইভাবে চলে যেতে দেখে...

২০১৪ [পোস্টের কান আলতো চেপে ধরে টেনে] : তোর ভাণ্ডার এখন অনভিজ্ঞতায় টস্ টস্ করছে ! বছরের শেষে প্রচুর অভিজ্ঞতায় শুষে নিয়ে ভাণ্ডারজুড়ে একেবারে খাঁ খাঁ করে ছাড়বে । আয় বুকে আয়...

২০১৫ [প্রি-কে জড়িয়ে ধরে] : আমাকে আশির্বাদ করে যেও দাদা ! আমি যেন বছরের শেষ অবধি টিকে যেতে পারি কামুকের যেই হোক না কেন...একি একি শরীর খারাপ লাগছে ? এখনো কয়েক ঘন্টা বাকি আছে...

২০১৪ [পোস্টের কপালে চুমু খেয়ে] : এবার চলে যা পোস্ট ! উইশ ইউ অল দি বেস্ট !

২০১৫ [হাত নেড়ে] : গুড বাই প্রিদা !

#২০১৫ গলায় #Happy_New_Year ব্যাজ ঝুলিয়ে বেরিয়ে পড়লো...

29 Dec 2014

হারামিভূত


সারা হলে আমি একা । সোফায় গা এলিয়ে কম্বলালিঙ্গনবদ্ধ ছিলুম । ঘড়িতে আড়াইটের রাত তখন ঝিমোচ্ছিলো । সামনের দিকের ঘরের দরজা পর্দাঢাকা । তার পাশের বাথরুমটা বন্ধ । তার পাশের রান্নাঘরটা খোলা কিন্তু এই হলের হ্যালোজেন বাল্বের আলোয় কিছুটা আধান্ধকার । 

মোবাইলে কুটকুটানি চলছিলো একমনে । এমন সময়ে মনে হলো কে যেন হন্ হন্ করে রান্নাঘরে গেলো । চমকে গিয়ে ওদিকে তাকাতেই বুঝলাম মনের ভুল ।

তাও কোথায় যেন খুঁতখুত করলো মনটা । প্রথমে ভাবছিলাম একবার উঠে গিয়ে রান্নাঘরের আলো জ্বালাবো, পরে নেতিবাচক হলাম । বুড়োবয়সে এসে ভয় পেয়ে গেলুম নাকি যে একটু যেচে দেখতে চেয়েও পারলুম না ? ভূতের ভয়ডর না থাকলেও কেমন যেন একটা অস্বস্তি লাগছিলো । মনে হচ্ছিলো এবার বেডরুমে ঢুকে পড়া ভালো ।

তার আগে কনফার্মড্ হবার জন্য একবার ভালো করে চেয়ে নিলুম চারধারে মাথাটাকে ঘুরিয়ে । ৩৫৯ ডিগ্রি অবধি ঘোরার পর মনে দপ করে একটা বাল্ব জ্বলে উঠলো । ভয়ের বাল্ব । শুধু ৩৬০তম ডিগ্রিতে থাকা একটা না-দেখা ভূত বোধ হয় আমার দিকে তাকিয়ে আছে রান্নাঘর থেকে বেরিয়ে । বহুকষ্টে শেষতম ডিগ্রি অর্জন করে দেখলাম নাহ্ ফালতু ভয় পাচ্ছিলুম । 

আর থাকতে না পেরে গুটিসুটি মেরে যেই বেডরুমে ঢুকতে গেলুম তখনই মনে হল রান্নাঘরের আলো যেন জ্বলে উঠলো । থমকে গিয়ে ঘাড় ঘুরিয়ে দেখি আলোটা জ্বালানো নেই, উল্টে হলের হ্যালোজেনের আলোর সদ্যোজাতসন্তান হয়ে হামাগুড়ি দিয়ে ঢুকে পড়েছে । খেয়াল করলাম তার ছন্নছাড়া গতিবিধি আর আমার ভীতিবিধির মধ্যে কোনো অমিল নেই ।

বিজ্ঞান নিজেই একটা হারামিভূত ।

আধটুকরো সম্মান


হানি হওয়ার পর যে আধটুকরো সম্মান বেঁচে থাকে, তাকে গরম ভেজা তোয়ালে জড়িয়ে রাখা হয় । বাকি খুইয়ে যাওয়াটা কত লোকে বরফঠাণ্ডা হাতে নিয়ে বয়ে বেড়ায় । সেই বেড়ানো চিরকালের হয় না । 

মৃতজ্ঞ যারা, তারা-ই নিজের বুকের পাঁজরে বরফের কুচি রাখে । বাকিরা এই কনকনে শীতেও ফ্রিজের ভিতরে খাবার খোঁজে । সেই না-পাওয়া খাবারের আসল নাম সম্মান ।

10 Dec 2014

স্পিডোমিটার


ভোরের কুয়াশাচ্ছন্ন হয়ে লিখতে না বসে প্রায় বরফ-বরফ জলে চান সেরে ফ্রেশ হয়ে গাড়ি চালিয়ে সকালের কুয়াশার চাদর একটার পর একটা পটাপট ছিঁড়ে ফেলার মজা আলাদা । 

যদিও দুপুরে বসে অনুভূতি বলতে গিয়ে লিখে ফেললাম উপরিলিখিত লাইনটা । এক মিনিটের কম লাগলো লিখতে । মজার রেশ কাটে নি পুরোপুরি কারণ স্পিডোমিটার সেইসময়ে বলছিলো ১০৫-১১০ কিমি প্রতি ঘন্টা । 

সারা বিকেল জুড়ে মিনিটপ্রমাণ লাইনটা ঝিরিয়ে নেয় । সন্ধ্যা নামলে সেই স্পিড নেমে যায় বলে বেশ কিছু লাইন লোড করলাম । শরীর ভারী হয় । মনে কিন্তু অ্যালার্ম বেজে ওঠে । ট্রাফিক পুলিশদের ছায়াকে গাড়িচাপা দিয়ে ফেললাম নাকি ? এত কম স্পিডেও ? 

মাত্র এই কটা লাইন দিয়ে জেব্রা ক্রসিং তৈরী হয় কিনা নিশ্চিত নই । ততক্ষণে কুয়াশার রাতের কম্বল বেরিয়ে পড়েছে মোড়ে মোড়ে । স্পিডোমিটার রীতিমত বাকহত ।

গসিপ


বাসা নিয়ে অনেকে গসিপ করে ।
করুক গে, আমি চারঠোঁট মেপে গরম গরম সিপ করি 

নিশ্চিন্তে,
নিশ্চাপে ।
 
বাসো তাও ব'-এর বোধটুকু ছাড়া তোমার
কিছু-ই নেই, তাই আমি বার বার আসি
তোমাকে বোঝাতে । 


তোমাকে কিন্তু
বাসি তবে ভালো কিনা বিচার করি না । 


খাবারের উপরে প্রজাপতি বসলে আজকাল অবাক হই না তেমন ।

মাঝে টুক করে বারোটা বেজে যায় যখন
বাসার মধ্যে মানুষের ভালো আর মন্দ পায়চারি করে ।

একটামাত্র সুড়সুড়ি


যখন কপালের সুড়সুড়িদায়ক চুলগুলো
ডান হাত দিয়ে সরিয়ে দিই
তখনই মনে হয়
ভাগ্যকে একজায়গায় বেঁধে রেখে লক্ষ মাইল দূর হেঁটেছি


যখন ঠাণ্ডার সুড়সুড়িতে পড়া নাক
দুই আঙুলে চেপে ধরে ঝাঁকাই
তখনই মনে হয়
বুকটা আসলে সমুদ্রবালি দিয়ে বানানো একটা ঘরবাড়ি


যখন চোখের কোণের অজানা সুড়সুড়িকে
তর্জনী দিয়ে ঘষে তুলে নিই
তখনই মনে হয়
জলের অভাব নেই, শুধু টাকার অভাবে আবডালে কাঁদি


যখন জামা খামচে ধরে শুকনো চামড়ার সুড়সুড়ির সাথে
যুদ্ধ বেধে দিই
তখনই মনে হয়
দুটো বা তিনটে হাড় শেষ কথা বলে না, শেষটা জীবিত কঙ্কাল


যখন প্যান্টের পকেটে হাত ঢুকিয়ে চুপিসারে সেরে নিই
সুড়সুড়ির কাজ
তখনই মনে হয়
সবার মত আমিও একজন ওয়েইং-মেশিন-নষ্ট মাপের তস্কর


যখন সুড়সুড়ি সুড়সুড়ির শত্রু হয়ে
খুদে বিড়ালের মত দাপিয়ে বেড়ায়
তখনই মনে হয়
পূর্বজন্মে হয়তো ছিলাম কোনো এক হিংস্র চারপেয়ে মানুষ


সংযত হলেও আমি কতটা অসহায় তা বুঝিয়ে দিতে ওস্তাদ
একটামাত্র সুড়সুড়ি ।

8 Dec 2014

ফাঁক করলো সে


ফাঁক করলো সে । চোখ বন্ধ করলেও পারি নি
মন সরিয়ে নিতে ।


একটা কাহিনী থেকে এলো প্রবাহিনী হয়ে ।
কোনো ষড়যন্ত্র নেই এর পেছনে,
ফাঁকটি তবু একটা নির্ভেজাল মিথ্যা ।


হাত পাতলে কখনো চলে আসে তালুতে
তালুটা সংকীর্ণমনের উপত্যকা, অনেকের কাছে যা
অচেনা ম্যাপ একটা ।


সাজানো সোচ্চার
রেখাগুলো কোনো কথা বলে নি
গত দুদিন ধরে, ছিলো শুধু ধারার কঠিন মুক্তিদানে
এই ধারা সেই ধারা কিনা
চোখ নিজে মানে না, কিন্তু মন ?


মানার জন্য-ই মনের দূর্বলতা করে দেয়
ফাঁকটাকে বড়,
আরো বড়, আরো ।


এর পাশাপাশি
পর্দার তলায় মণির ছটফটানি থামবে একদিন ।

সামান্য পুতুললোক


অন্ধকার ছুটছে আলো'কে পিছনে ফেলে
ব্ল্যাক টিকিটে ।


অন্ধকারের এমন ছুটন্ত অনৈতিকতা
জীবনে খুব একটা আসে না ।
রাস্তা পিছনের দিকে চলে যাচ্ছে আর
আমি ? 


পুতুল ।
পুতুল ।
একজন সামান্য পুতুললোক যাকে দেখতে কেউ টিকিট কাটে না ।

1 Dec 2014

মিল একটাই


খোলা আকাশ । কানফাটা একটা শব্দ হলো । ইতিমধ্যে গুলি বেরিয়ে পড়েছে । একা একা । কিন্তু জানে না যে কেন বেরিয়ে পড়তে হয় তাকে । জানে না কোথায় যাবে সে । অসহায় হয়ে চারদিক চেয়ে সঙ্গী খোঁজে । জানে না কোথায় বা ঢুকবে । এও জানে না কতদূর গিয়ে শেষ হবে । তবুও একটা নির্দিষ্ট ছন্দময় অভিমুখে যায় এক অজানা লক্ষ্য নিয়ে । না-জানা একটা গন্তব্যস্থলে গিয়ে থামলো । সেখানে সটান করে লিখে ফেললো এক অনিবার্য মৃত্যু । এর সাক্ষী হয় ক্ষণিকের জন্য স্তব্ধ হয়ে যাওয়া শত শত প্রাণ ।
বন্ধ ঘর । নিঃশব্দপ্রায় চাপা নিঃশ্বাস পড়লো । ইতিমধ্যে শুক্রাণু বেরিয়ে পড়েছে । একা নয়, একসাথে অনেকে মিলে । অবশ্যই জানে যে কেন বেরিয়ে পড়তে হয় তাদের । জানে কোথায় যাবে তারা । লিডার হয়ে ওঠে এদের মধ্যে একজন । জানে কোথায় বা ঢুকবে সে । এও জানে কতদূর গিয়ে শেষ হবে । তবু এর অভিমুখ কেমন যেন সৃষ্টিছাড়া ছন্দহীন যদিও লক্ষ্য পূর্বপরিকল্পিত । ঠিকানাজানা গন্তব্যস্থলে গিয়ে পৌছালো । সেখানে না থেমে ধীরে সুস্থে লিখতে থাকলো এক নতুন জন্ম । এর সাক্ষী হয় ধুকপুক করা দুটিমাত্র প্রাণ ।
মিল একটাই । পরিবারের লোকজন আর আত্মীয়স্বজনদের জড়ো হওয়া যেখানে অমিল প্রচুর এবং প্রধানতঃ জন্মমৃত্যুর কারণজনিত ।

জামা উড়ছে


জামা উড়ছে, 
প্যান্টেরও ইচ্ছা খুব
যে উড়বে সে । 


কতটা যে উড়বে তা
চরিত্রনির্ভর ;


চরিত্র বুঝি এতটা জলভাত নাকি
কেবল-ই জলের মত
পাত্রনির্ভর ? 


পাত্রের তলা অবলম্বনবিহীন নয় বলে
উড়বে-উড়বে একটা অধঃপতন ।