23 Nov 2015

শিকড়গড়া মনের সন্ধানে


বিস্তৃত শিকড়গড়া মন যার, সে কখনো কারো ক্ষতি করে না । নিজে আরো ডুবে যায় কল্পনায় । অন্তরালে চলতে থাকা একরকমের অস্তিত্বহীনতা । নিজের অস্তিত্বকে অস্বীকার করার নেশা । তলে তলে এমনকি পাতালে তার নানাবিধ ডালপালা মেলতে থাকে । মেট্রোরেলের কর্তৃপক্ষও টের পায় না এমন অভিজাত আত্মহননের গুপ্তকথা । 

নীলুর একমাত্র বোন নতিস্বীকার করে নি । দেড়বছর হলো সে কেরোসিন দিয়ে কেলো সিন ক্রিয়েট করে চলে গেছিলো । পৃথিবীর মাটির উপরেই । প্রকাশ্যে । আলো বাতাস যথেষ্ট ছিলো । দর্শকমাত্র ছিলো তার পরিবারবর্গ । তার এই চলে যাওয়াটা স্টেজের ম্যাজিসিয়ানের বিপজ্জনক খেলার একটা 'ইচ্ছাকৃত' ভুলের সমান । দারুণ একটা শো-অফ ছিলো তার সেই হলুদ-লাল-কালচে-বাদামী ভয়াবহ আগুনে অন্তর্ধানদৃশ্য । 

কি ভয়াবহ ! কি ভয়াবহ ! ঈর্ষা করা একধরণের হীনমন্যতা । এতে পৃথিবীর বাকি কারো কিছু গো-কাম হয় না । 

নীলু একদিন বলেছিলো মন খারাপ করা নাকি একপ্রকারের আরামপ্রিয়তা । গোয়ায় সমুদ্রের ধারে অচেনাদের ভিড়ে একলা ডাবে স্ট্র । দুই ঠোঁটের ফাঁক দিয়ে মনখারাপের অ্যান্টিজেনিক সুড়ুৎসুড়ুৎ স্যালাইনের বিলাসিতা ।

ফুড়ুৎপাখির মত সুখ ! বহুদিনের পুরোনো মাকড়শার জাল কেটে বেরিয়ে আসতে পারার সুখ । এমন সুখের মকটেল বিনা পয়সায় পাওয়া যায় । প্রস্তুতিপর্ব ও রেসিপি ছাড়া ।

আমি আহত হই এসব বুঝতে বুঝতে । অতিরিক্ত জ্ঞানাহত হওয়া মোটেই সুখকর নয় । স্টারমার্কে ফের চলে যাই । চলে যাই অসংখ্য শিকড়গড়া একটিমাত্র মনের সন্ধানে, যেখানে বাস্তবজ্ঞানের প্রবেশাধিকার নেই ।

No comments:

Post a Comment