18 Aug 2014

তাড়া


জায়গায় জায়গায় জড়ো করে থাকে গাদা গুচ্ছের দেরী । সবগুলোর মধ্যে ঝিকমিক করে একটা করে তাড়া । নির্বাক তাড়া । আকাশের বা চোখের তারা ভাবলে সে স্রেফ অপমানের চোটে একগুচ্ছ দেরীর ভিড় ঠেলে উঁকি মারে । একবার উঁকি মেরে ফিরে যায় । চুল বাঁধতে বাঁধতে বা চুল আঁচড়াতে আঁচড়াতে হাতদুটো পাখির কচি ডানা হয়ে যেতে চায় । যেন এখুনি সেই তাড়াকে কুড়োতে হবে ।

চিরুনি পড়ে যায় খটাস করে । রবারের রিং বা রিবনের ফিতে ছিঁড়ে যায় পং করে । এমনকি বাকি যা যা সশব্দে হয় সেগুলো সেই তাড়ার মধ্যে কোনো কাঁপুনি ধরায় না । একেবারে অসাড় তাড়া । সাড়হীনতাই তার একগুয়েমি । এই একগুয়ে স্বভাবের তাড়া যতটা সামান্য মনে হয়, ততটা নয় । এর জন্যে গোটা দুনিয়ার চালচলন ব্যর্থপ্রেমিকের মতো । 

এরকম মোটা মোটা শক্তপোক্ত দেরীর আড়ালে পড়ে থাকা তাড়া আসলে দলাপাকানো ছোটো একটা শীর্ণকায় রোগ । যা যেকোনো অসুখের চেয়ে তুচ্ছাতিতুচ্ছ অথচ এর ভয়াবহতা অনেক দূর । এই দলাকে এড়িয়ে যাওয়া অসম্ভব । যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই দলার রফাদফা করতে হবে বলে তাকে ধরার জন্যে দৌড়াই । কিন্তু আমাদের দৌড় ওই দেরী পর্যন্ত । তারপরে আর দম থাকে না । তাড়া থেকেও হারিয়ে যায় ওই দেরীর ভিড়ে আর নিমেষের মধ্যে হয়ে যায় বাকি সমস্ত যাবতীয় অসুখের শিরোমণি ।


No comments:

Post a Comment