3 Jul 2015

ডিএনএ কাটতে হবে


ডিএনএ কাটতে হবে বলে বিশেষ কর্মক্ষম একটা ব্লেড খুঁজছি ।

এমন সূক্ষ্মতার সাথে কাটা যাবে যাতে কিছু রোগ-উপরোগ পুঁজের মত বেরিয়ে আসবে । শুকিয়ে যাওয়া ধ্যাবড়ানো রোগের খোসাগুলো টুপটুপিয়ে খসে পড়ে যাবে ব্লেডের এক বা দু ঘা'তে । মড়ার মত ভাসবে নিউক্লিয়াসে পড়ে । বাকি যেসব রোগ (বেশিরভাগ) ধরা যায় না, সেগুলোকে বার বার ইলেকট্রনিক ফুলকি দিয়ে পুড়িয়ে ফেলতে হবে । পুড়ে কালো হয়ে যাওয়া নিকষ রোগগুলো সব দানা দানা হয়ে ছড়িয়েছিটিয়ে বেড়াবে একই নিউক্লিয়াসে ।

দমবন্ধ হয়ে বেচারা ক্রোমোজোম তার সারা গা থেকে খুলে ফেলতে থাকবে প্যাঁচানো সিঁড়ির মত দেখতে বস্তুটি অর্থাৎ ডিএনএ । পরপর সাজানো সিঁড়ির ধাপগুলো ব্লেডের ঘা দিয়ে ভেঙে দু'খান করতে হবে । ততক্ষণে ডিএনএ একটু একটু করে প্যাঁচ খুলে সিধে হতে থাকবে । এমন লম্বা ও সোজা হয়ে যাবে ডিএনএ টা যেন মনে হবে চোদ্দোকোটি পুরুষ ধরে একটা রেড কার্পেট শূন্যে বিছিয়ে দেওয়া হয়েছে । বংশপরম্পরায় কেউ আর ওই কার্পেটের উপর দিয়ে যেতে পারবে না । 'ওয়েলকাম ড্রিংক'জাতীয় আন্তরিক অভ্যর্থনাটুকু থাকবে না গোড়াতেও ।

এভাবে পড়ে থাকা শেষ বংশপত্রটি সযত্নে তুলে রাখবো । পরে কোনো একদিন পত্রটি কায়দা করে ভাঁজ করে জাহাজ বানাবো । তাকে ভাসিয়ে দেবো সেই দুষিত নিউক্লিয়াসে । আস্তে আস্তে চোরাবালির মত কাজকর্ম করতে শুরু করবে নিউক্লিয়াসটা । শেষ হতে থাকবে । বরং সাহিত্যগত ভাবে বলতে গেলেই 'নিঃশেষ' ।

সেই ব্লেডটা এখনো খুঁজছি । খুঁজছি দু-হাত ছড়িয়ে । বৃষ্টি হয়তো বুঝতে পেরেছে । তবু না-বোঝার ভান করে ঝমঝমিয়ে পড়ছে আর দিচ্ছে আমার হাতদুটির তালুকে পুরোপুরি ভিজিয়ে । আচ্ছা, সব রোগ কি ভিজে যায় এতে ?

No comments:

Post a Comment