9 Feb 2014

Welcome to Hell


হপ্তাখানেক আগে থেকে স্বর্গে recession চলছে । আজ রাত্রি নটায় ঘুম ভাঙলো যমুনার । সবার আগে মনে পড়লো আজ তার ঠাকুরদা যমের মৃত্যুশতবার্ষিকী । খাট থেকে লাফ মেরে কালচে লাল দেওয়ালে টাঙানো ঠাকুরদার ছবিতে হাড়গোড়ের মালা পরিয়ে দিলো নাতনি যমুনা ।

যমুনার বয়স এখন প্রায়-ই ২০০ বছর , কিন্তু দেখতে শুনতে একদম বিশ বছর বয়সী যুবতী । আর বিষময় যৌবনে ভরাট তার শরীর । একমাথা ভর্তি পা-পিছলে-পড়ে-যাওয়া কালো চুল , নাকটি ফট-করে-বেলুন-ফাটানো সুচালো , ঠোঁটদুটি ড্রাগ-ভর্তি পাপড়ির মত অতিসুন্দর । কিন্তু তার চোখদুটি কেউ যেন যত্নসহকারে রঙ-পেন্সিল দিয়ে এঁকে দিয়েছে যা দেখলে মনে হবে শুধু রিয়ালিস্টিক আর্ট অথচ সত্যিকারের চোখ বলে অনেকের মনে সন্দেহ হবে । কারণ আবেগ-অনুভূতি-কান্নায় তার শিল্পসুলভ চোখদুটি সম্পূর্ণ ভাষাহীন ।

রোজ রাত্রি নটায় তার ঘুম ভাঙে আর যাবতীয় কাজ শুরু করে দেয় ভোরের আলো ফোটার আগে । কিন্তু আজকের বিশেষ দিনটা তার ব্যতিক্রম । মনের মধ্যে খেলে যাচ্ছে একটা চাপা টান-টান উত্তেজনা । ঠাকুরদার কথা খুব মনে পড়ে এইসময়ে । কত পাপীষ্ঠ-পাপীয়সীদের নেমন্তন্ন করতেন নিজের হলঘরে । আসমুদ্রহিমাচলের আয়তনে এক নরকপুকুরে সবার সাথে স্নান করতেন, তাদের যত্ন করে নিজের হাতে স্নান করাতেন । একটা বিশাল ডিনাররুমে একসাথে বসে খেতেন । কিশোরী যমুনা সব দেখতো তার রঙ-পেনসিল-আঁকা দু'চোখ মেলে । সব পাপাত্মাকে দেখতে আর পাঁচজন সাধারণ মানুষের মত । আলাদা করে তাদের পাপকর্ম দিয়ে চিহ্নিত করার জো নেই । এরা মানুষের মত মানুষ । যা পাপ করার তাই করেছে স্বর্গীয়সুখ লাভের লোভে পড়ে । আর কিছু-ই না ।

এই ব্যাপারে ঠাকুরদা জীবিতকালে একদিন যমুনাকে বলেছিলেন - "পাপ বলে যা আছে সেগুলো আসলে ঠিক পাপ নয় , এগুলো স্বর্গপুরে যাওয়ার পথে পড়ে থাকা কলার খোসা মাত্র । একটু বেখেয়ালে পড়লে কিয়ৎকালের জন্য হাত-পা ভাঙ্গলেও কোথাও না কোথাও ক্ষতস্থান তৈরী হয়ে-ই যায় বাকিজীবনের জন্যে । সেই ক্ষত শুকিয়ে ফেটে পাপ বেরোয় । আর মরণকাল থেকে এদের সেবাযত্ন করার দায়িত্ব আমাদের ।"

শুনে যমুনা জিজ্ঞাসা করেছিল - "আচ্ছা স্বর্গ কেমন ? ওখানে কারা যায় ?"

উত্তরে ঠাকুরদা জানালেন - "ছিঃ ছিঃ স্বর্গের নাম উচ্চারণ করতে নেই । এ অতি খারাপ জায়গা । এটা সমস্ত রকম পাপের উৎস , আর স্বর্গীয়সুখ পাওয়ার জন্যে লোকে ভয়ানক লোভী হয়ে যায় । সে অতি খারাপ জিনিস , বুঝলি যমুনা ?"

- "কিন্তু কারা যায় বললে না যে ?"

- "সে শুনে তোর কাজ নেই । যারা যায় তাদের তো খেয়ে দেয়ে আর কোনো অসৎ কাজ থাকে না সারা জীবন জুড়ে । ভীতুর ডিম সব । জীবনের সাদা দিক দেখে শুধু , কালো দিক দেখে না । দেখবার আগ্রহ তো দূরের কথা , সাহস হয় না । কুসংস্কারাছন্ন সৎ-ধার্মিক হতভাগাদের জায়গা"

- "আচ্ছা, ফোন নাম্বার পাওয়া যাবে ?"

- "নিকুচি করেছে । জানিস না, যমনীতির ৩৫৮৭-তম ধারা অনুসারে স্বর্গের সাথে যোগাযোগ রাখার চেষ্টা বা কিঞ্চিত ইচ্ছাপ্রকাশের অপরাধে মাথায় একটা ছোট্ট গাট্টা মারার মত কঠিনতম শাস্তি দিতে হয় । যা এখুনি পড়তে বস্ ।"

যমুনার মনে খুব জেদ চেপেছিল সেদিন থেকে , যেমন করে হোক স্বর্গপুরবাসীদের সাথে যোগাযোগ রেখে তাদের সম্বন্ধে নানা বিষয়ে জেনে নেবে একদিন না একদিন । আর ভবিষ্যতে স্বর্গের খুব শিগগির recession যে হবে সেটা বুদ্ধিদীপ্ত ও দূরদর্শী যমুনা জানতো সেই কৈশোরকাল থেকে-ই । নরকপুরের ভবিষ্যৎ যে অতিউজ্জ্বল সেটা সে তার রঙ-পেনসিল-আঁকা চোখের সামনে পরিষ্কার দেখতে পেত । দেখতে পেত দেশে পাপীসংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে , তার সাথে সমান হারে বাড়ছে পাপিয়সীর সংখ্যা । দেশের সরকার নিজে-ই ঘুষখোর । নিজে-ই ধর্ষকের নামান্তর । সরকারের ফেলা একেকটা থুথু একেকটা খুনের সমান । আর ভাবতো , ইস্ এত পাপী-পাপিনীদের জায়গা হবে কোথায় ? নরকটাকে আরো বড় করতে হবে , মেরামত করতে হবে , রঙ করতে হবে , আরো জমি কিনতে হবে , নতুন নতুন ফ্ল্যাট কিনতে হবে , প্রচূর কাজ পড়ে আছে । যমুনা মনে মনে ঠিক করে নিয়েছিলো সে নিজে সব দায়িত্ব নেবে । যেমন ভাবার তেমনি কাজ ।

এখন নরকে প্রত্যেক জীবিত মানুষের জন্যে একটা করে ঘর । যখন যে শিশুর জন্ম হয় ঠিক তক্ষুনি একটা নতুন ঘরের ব্যবস্থা হয়ে যায় নরকপুরে । কারণ যমুনা জানে-ই যে প্রত্যেক নবজাতকের মধ্যে লুকিয়ে থাকে পাপবীজ । সেই বীজ থেকে পাপী অঙ্কুরিত হয়ে বড় হতে থাকে । দুই কি তিন বছরের মধ্যে পাপের জয়যাত্রা শুরু হয়ে যায় । ক্রমশ-ই পরিণত হতে থাকে পাপ । শুধু অপেক্ষা তার মৃত্যু । না , পাপের মৃত্যু নয় । দুপেয়ে পাপীর মৃত্যু ।

ছোটবেলায় কোত্থেকে চুরি করা স্বর্গের ফোন নম্বর বের করলো যমুনা । সেই নম্বরে ডায়াল করলো । ওপ্রান্ত থেকে মিনমিনে একটা কন্ঠস্বর ভেসে এলো
- "হ্যালো? কাউকে পেলি ?"

যমুনা প্রথমে হতচকিত হয়ে সামলে নিলো তক্ষনাৎ । গলা একটু নরম করে বললো
- "ইয়ে আমি যমুনা বলছি । নরকপুর থেকে ।"

- "ওয়াট্ দা ফা-আ-আ হেল্ ? ওয়াট্ ডু ইউ মিন্ ?"

- "ইয়েস স্যার । স্পিকিং ফ্রম্ হেল্ ।"

- ( ওপাশের গলা কেঁপে উঠলো যেন ভয় পেয়ে ) "আ-আ-আর ইউ সিওর ?"

- ( বহু কষ্টে হাসি চেপে ) "ইয়েস স্যার ! সো ক্যান আই আস্ক সামথিং ইম্পোর্টান্ট ?"

- ( আমতা আমতা করে ) "ইয়েস্ প্লিজ্ শুট্ । বাট্ বিফোর্ দ্যাট্ আই নিড্ টু নো ইওর নেম্ । "

- "ইয়েস্ যমুনা বলছি । এবার বাংলায় বলি শুনুন ..."

- "দাঁড়ান দাঁড়ান । যমুনা মানে ? যমের কি হলো ?"

- "বস্ আমি যমের নাতনি । ঠাকুরদা গত হয়েছেন আজ থেকে একশো বছর আগে"

- "ওহ ওক্কে ওক্কে । আমার ও তাই । সরি আই মিন আমার বাবা মারা গেছেন অনেক বছর আগে । আমি তার ছেলে বলছি । আমার নাম জুনিয়র দেবতা । আমাকে দেবজু বলে ডাকে এখানকার লোকে"

- "বেশ দেবজু । কিন্তু আপনার গলা শুনে মনে হচ্ছে না যে আপনি আমার বাবার বয়সী । আমার-ই বয়সী বোধ হয় । যাই হোক আসল কথায় আ-আ..."

- ( সব ভুলে উৎসাহিত হয়ে ) "তাই নাকি ? আর ইউ সিঙ্গল ?"

- ( হাসিতে ফেটে পড়তে পড়তে ) "ধুর মশাই আপনি সত্যি না ! কি হবে এইসব জেনে ? আসল ক-অ-অ..."

- ( রেগে গিয়ে ) "এড়িয়ে যাচ্ছেন কেন ?"

- ( একটু থতমত খেয়ে ) "ইয়েস আমি একা । আমাদের নরকপুরের বাসিন্দা বলতে একমাত্র আমি একা । আর কেউ-ই নেই । আর যারা আছে তারা সবাই পা-আ-আ..."

- ( 'নরক' নাম শুনে হোঁচট খেয়ে ) "সরি বলুন এবার ।"

- "ওয়েল । আমি শুনলাম আপনাদের ওখানে নাকি recession চলছে এখন..."

- "সেরেছে ! কি করে জানলেন?"

- "জানি সব আমি । আমি যখন ছোটো ছিলাম তখন থেকে হিসেব করে জানতে পেরেছিলাম..."

- "হুম । কিন্তু কি দরকার তাতে আপনার ?"

- "নাহ মানে আমি জানতে চাইছিলাম যে এই দুর্দশায় কি করে টিকে আছেন আপনারা মানে বউ বাচ্চা...?"

- ( বিরক্ত হয়ে ) "কে বললো আপনাকে যে আমার বউ আছে ? বিয়ে হয় নি আমার । কে বিয়ে করবে এই দুর্দশায় ? আসলে দেশের অবস্থা উন্নতি হচ্ছে কিনা বুঝতে পারছি না , কিন্তু টের পাই অনেকবছর ধরে গা থেকে সততার পোশাক খুলে ভিতরের সমস্ত সভ্যতান্তর্বাস খুলে নেত্যকীর্তন করছে গোটা দেশ । তাই পুণ্যকাজের সমস্ত বিল ছিঁড়ে ফেলে দিয়েছে সরকার । মানুষ মরে গিয়ে সব শুধু হেলে যাচ্ছে । দেখতে দেখতে আমার লাইফটা পুরো হেল হয়ে গেছে তখন থেকে..."

- ( একটু নরম হয়ে ) "বুঝতে পারছি দেবজু । মন খারাপ করবেন না । ঠিক হয়ে যাবে সব ।"

- ( গলায় বিস্ময়ের সুর এনে ) "কি করে হবে? ইজ ইট পজিবল্ ? "

- "হবে । জানেন তো আমার এখানে অনেক গুনীমানী পাপাত্মা আছে । তাদের মধ্যে একজন হলো লিও টলস্টয় । নামকরা ঔপন্যাসিক ছিলো । সেই পাপাচারীর সাথে আমার মাঝে মাঝে কথা হয় । তার কাছে একটা কথা জানতে পারলাম - 'Everyone thinks of changing the world, but no one thinks of changing himself' - এই কথাটা একবার ভেবে দেখুন তো ।"

- ( গভীর শ্রদ্ধায় গলার স্বর পাল্টে গিয়ে ) "উরিব্বাশালা সরি ইয়ে মানে টলস্টয়ের নাম অনেক শুনেছি আমাদের এখানকার একজনের মুখে , কিন্তু উনি আপনাদের ওখানে গেলেন মৃত্যুর পরে । বেশ তো । কিন্তু ও কি এমন অন্যায় করেছিলেন?"

- ( তিতিবিরক্ত হয়ে ) "আপনি দেখছি এই বিশ্বপাপের কোনো খবর রাখেন না । টলস্টয় ছিল অনেক বড় মাপের ধর্ষক..."

- ( বিষম খেয়ে ) "অ্যাঁ ! কি বললেন ? ছিঃ ছিঃ ওইসব আমাদের এখানে চলে না । এখানে যারা এসেছে তারা সবাই ভীষণ সৎচরিত্রবান , জীবনে একটাও অন্যায় বা অপরাধ বা পা-আ-আ কি যেন বলে ওটাও করে নি । এই নিয়ে আমার ভীষণ গর্ব হয় "

- ( মুচকি হেসে ) "বুঝলাম ! আপনি 'পাপ' কথাটা পর্যন্ত শোনেন নি দেখছি । যাইহোক যা সব বললেন সব-ই পাপের নামান্তর । তবে এটাও জেনে রাখুন আর কোনোদিন নিষ্পাপ ভ্রূণ নিয়ে কেউ ভূমিষ্ঠ হবে না । এবার ভেবে দেখুন টলস্টয়ের অমূল্য ওই কথাটা ।"

- "হুম ঠিক আছে একটু ভেবে দেখছি । আপনার ফোন নম্বর দিন তো আর ছবিসহ ঠিকানা দিন ।"

- "ফোন নম্বর আর ঠিকানা দিতে পারি । ছবি নিয়ে কি করবেন আপনি? বুঝলাম না ।"

- "নাহ মানে আসলে আমাদের এখানে হাজার হাজার নিয়মের কড়াকড়ি ব্যাপার আছে । স্বর্গনীতির ১২ নং ধারা অনুসারে কারো সাথে ফোনে কথা বলতে গেলে সেই ব্যক্তির নাম-পরিচয়-ঠিকানা-ছবি সব-ই আগে থেকে নথিভুক্ত করে রাখা উচিৎ"

- "আচ্ছা বেশ । তাই হবে । আপনার মেল আই.ডি. দিন । এক মিনিটের মধ্যে পাঠিয়ে দিচ্ছি আমার ছবিসহ কন্টাক্ট ডিটেলস্"

- "এই নিন ডি ই বি ডট জে আর এট দ্য রেট হিভেন ডট কম"

- "ধন্যবাদ দেবজু । এক্ষুনি পাঠিয়ে দিচ্ছি । এখন রাখছি আর আপনার প্ল্যান জানাতে ভুলবেন না । বাই । "

- "সিওর বাই ।"
বলে ফোনের রিসিভার রাখলো দেবজু । তারপর তার বহুদিনের পুরোনো জং ধরে যাওয়া ঘরে ফিরলো । PC অন্ করলো । নেট কানেক্ট করার ট্রাই করলো বার আটেক । অবশেষে এলো । মেলবক্স ওপেন করলো । খুলে দেখলো যমুনা নামের সেন্ডার থেকে একটা মেল এসে গেছে ততক্ষণে । ক্লিক্ করলো । দেখে নিলো কন্টাক্ট নম্বর আর ঠিকানা । attachment ওপেন করলো । যা খুললো তা দেখে মাথাটা ঘুরে গেলো দেবজুর ।

এমন চোখদুটি দেখে নি দেবজু আগে কখনো । কোনো ভাষা নেই চোখের । নেই কোনো আবেগ । না হাসি , না দুঃখ । কোনো পুণ্যতার আভাস নেই । নিষ্পাপ ও বলা যাবে না । এমন ভাষাহীন চোখদুটি শুধু রঙ-পেনসিল-আঁকা বলে মনে হয় কেউ যেন ভিতরের সমস্তকিছু ব্লটিং পেপার দিয়ে শুষে নিয়েছে । অপার বিস্ময়ে থিতু দেবজু কতক্ষণ ধরে ছবিটা দেখছিলো খেয়াল নেই । এমনকি যমুনার শরীরের দিকে তখনো তার চোখ পড়ে নি ।

হঠাৎ দেবজুর মনে হলো তার নিজের শরীরের ভিতরে কিছু একটা হচ্ছে যা আগে কখনো হয় নি । সারা শরীর বেয়ে রক্ত যেন উন্মাদের মত ছুটে বেড়াচ্ছে । তারপর মনে হলো নিজের উরুসন্ধির মাঝের লম্বাটে ধরণের মাংসপিণ্ডটা যেন মাথা একটুখানি নেড়ে থামলো । সে বুঝতে পারলো না ব্যাপারটা কি হচ্ছে ? আবার দেখলো ছবিটার দিকে । চোখদুটি যেন ভাষাহীনতায় আরো অস্বাভাবিক সুন্দর হয়ে উঠছিলো । সেই সৌন্দর্যের টানে সে আবার অনুভব করলো সেই পিণ্ডের মৃদু ছটফটানি । এইভাবে পুণ্যতার অন্তিমবিন্দুতে এসে প্রকৃতির ডাকে শেষে সাড়া দিলো সে । সেই মাংসপিণ্ডের গায়ে ডানহাত রেখে বুলিয়ে দিলো । সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়লো চরম পবিত্র পাপহীনতা । রক্তে বইছে অতি নিষ্পাপ স্রোত । এক অদ্ভূত পরমতৃপ্তিতে আত্মহারা হয়ে পড়লো জুনিয়র দেবতা । ডানহাতটি চলতে থাকলো নিজস্ব প্রকৃতির স্বাভাবিক নিয়মে । এক তীব্র পুণ্যগতিতে । পরিশেষে পেলো জীবনের সবচেয়ে বড় পুরষ্কার । পুণ্যকর্মের বিশুদ্ধ ফল ।

পরদিন যমুনার মোবাইল বেজে উঠলো । স্ক্রীনে ভেসে উঠলো - "one unread mail from Debju" । ওপেন করে দেখলো সে । তাতে দেবজু লিখেছে - "যমুনাদেবী , গতকাল আমি এমন একটা শুভকাজ করেছি নিজের স্বার্থে যা আগে কখনো করি নি জীবনে । ষোলোআনা পুণ্যকর্ম যাকে বলে । জীবনের সাদা দিকটা আরো কাছ থেকে দেখতে পেলাম । এতো সাদা ধবধবে যে কল্পনাও করতে পারবেন না আপনি । আগাগোড়া পবিত্র সাদা । I've changed myself a lot. Anyway, now I've decided to meet you first for further discussion on this. Want to go to Hell."

যমুনা রিপ্লাই দিলো - "Welcome to Hell"

No comments:

Post a Comment