13 Feb 2014

বক্তব্য #3


Sumantra Maiti আর আকাশের কথোপকথন পড়ে আমার একটা-ই কথা মনে পড়ে গেছিলো যেটা অবশ্য-ই আমার ব্যক্তিগত জীবনে হয়েছিলো ।

এখানে বলে রাখি আমি একজন জন্মবধির , তাই স্বাভাবিকভাবে আমার উচ্চারণ (Articulation) অশিক্ষিত লোকের মত শোনায়, তবুও চেষ্টা করি টু সাম এক্সটেন্ট যাতে যার সাথে সামনাসামনি (ফেবু বা সোশ্যাল নেটওয়ার্ক - এর বাইরে) কথা বলি সে কিছুটা হলেও বুঝতে পারে ।

আমি যখন 'পাখি' বলি আর একজন শ্রোতার কানে সেটা 'প্যাকি' শোনায় , তাহলে কি সেই শ্রোতা আমাকে থামিয়ে বলবে -
" 'প্যাকি' আবার কি ওটা তো 'পাখি' হবে ? " - আসলে শ্রোতা বুঝতে পারছে যে আমি স্পষ্টতঃ পাখির কথা বলছি আর শ্রোতা শুধু উচ্চারণ নিয়ে খোঁচা মারলো । এটা তো সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং অনর্থক তর্কবিতর্কের সূত্রপাত ছাড়া-ই আর কিছু নয় ।

আর এই ক্ষেত্রে আমি বলি - 'Articulation'-এর উপরে কোনো বিধিসম্মত বা যুক্তিসম্মত নিয়ম নেই যে প্রত্যেকের স্পিচ একদম একরকম-ই শোনাবে । এমনকি সুমন্ত্র আর আকাশের একই শব্দের (বিশেষ কিছু শব্দ) উচ্চারণ পুরোপুরি একই না হওয়া স্বাভাবিক যদি মুখোমুখি বলে (না লিখে), সে ব্যাপারে আমি পুরো নিশ্চিত । মানুষের নিজস্ব যে স্টাইল বা উচ্চারণভিত্তিক শব্দের উপরে মুখের ভিতরের অংশগুলির (কন্ঠ, তালু, মূর্ধা , দন্ত আর ওষ্ঠ) সাথে জিভের সংযোগস্থাপনের যে কন্ট্রোল আছে সেটা-ই তো যুক্তির বাইরে । সর্বোপরি মানুষের গলা দিয়ে মানুষকে চেনা যায় , তাই না ?

তবে হয়তো এখানে প্রশ্ন উঠবে এটার সাথে লেখার সময়ে বানানগত পরিবর্তনের কি সম্পর্ক ?

আছে নিশ্চয়-ই । গলার স্বর যদি মানুষভেদে ভিন্ন ভিন্ন এবং সেটা মানুষের পরিচিতির একটা ইউনিক পিস হয় তাহলে লেখার ক্ষেত্রে তাই সমানভাবে প্রযোজ্য । কেউ যদি ইংরাজি শব্দ 'মেসেজ'-টা 'ম্যাসেজ' বলে চালাতে চায় তাতে অসুবিধা কোথায় যদি আমরা শব্দটার আগে-পরে কথাগুলোর রেশ ধরে একটা সামগ্রিক অর্থ ধরতে পারি ?

খালি শব্দের উচ্চারণের পরিবর্তন দিয়ে লেখাটার বা লেখকের প্রতি কটাক্ষ করার কোনো কারণ দেখি না আমি । তবে বাংলা শব্দের বানান যদি খোদ বাংলার মুখে কালি মেখে পরিবর্তন আনার চেষ্টা করে কেউ যেমন 'স্বপ্ন' কে 'শপনো' বলে চালায় অবশ্যই এটা নিয়ে যুক্তিবিবাদ চলা-ই অতিপ্রাসঙ্গিক , যা ইংরাজি শব্দের ক্ষেত্রে কখনো-ই না যেহেতু এটা নিজ নিজ স্টাইলের (Articulation) প্রোডাক্টমাত্র । (ব্যক্তিগত মত)

No comments:

Post a Comment