7 Apr 2014

রাগ করো আর সুখে থাকো


রাগ জিনিসটা বড়ো ভালো, উপাদেয় আর সৌন্দর্যবিজ্ঞানগত ভাবে ভীষণ উপকারী । নারীরূপে আলোকিত রাগ কোন পুরুষমানুষ চায় না? আবার রাগ যে পৌরুষব্যঞ্জক তা নারীমহলে ফিসফিসানির সূত্রপাত ।

তবে রাগামি করতে হলে চট করে বা দুম করে নয়, নাহলে রাগের কার্যক্রিয়া ভুস্ করে ফুরিয়ে যাবে । শুরুতে মাথাটা ভালো করে রাগশ্যাম্পু দিয়ে মাখিয়ে নিতে হয়, যাতে প্রচুর রাগফেনা তৈরী হয় । এতে মন ও শরীর দুটোতেই ভালো-ই কাঁপুনি আসে । কেঁপে কেঁপে খেপে ওঠার জন্যে ভালোতর প্রোডাক্ট বাজারে পাওয়া যাবে না । জনপ্রিয়তাকরণে এর ভূমিকা এক এবং অদ্বিতীয় ।

বুকে বুক ঠেকে রাগবিনিময় সামাজিক নিয়মের মধ্যে অবিলম্বে ফেলা হোক । বছরে যতবার কোলাকুলি হয়, তার চেয়েও এটা অনেকবেশি সংখ্যায় বাড়ানো খুব জরুরী । সাথে সাতপুরুষের জাত তুলে সমস্ত গুরুত্বসম্পন্নকথা লেনদেন করে সম্পর্কে চিড় ধরিয়ে দেওয়ার মত রাউণ্ড রাখতে হবে । একের পর এক ঘামক্লান্তকারী ব্যস্ততা থামিয়ে সেই সামাজিকোৎসবে মেতে ওঠা বিধিবদ্ধ করা উচিৎ । এতে পরিবেশ আরো জমজমাট হয়ে ওঠে ।

বিনারাগে সময় কাটে বেকার রক্তহীনতায় । বরং রাগ বয়ে আনে সময়োচিত রক্তপ্রবাহ । রাগ তাই মানুষের প্রাণ । প্রাণপণে প্রাণবধ করে প্রাণভর শান্তিলাভের যে মারাত্মক বীজ লুকিয়ে থাকে মনের এককোণে তা মানুষের পরিচিতিকে সুস্থায়িত্বদান করতে ওস্তাদ ।

সুতরাং থাকছে খুন করা বা মুখে অ্যাসিড ছুঁড়ে দেওয়া বা যেকোনো পরিকল্পনামাফিক অপরাধমূলক কাজ করার মত ওয়ান্-টাইম অ্যাচিভমেন্ট যা দিয়ে সমাজকল্যাণের নামে ঘরের শ্রীত্ব লাভ করা যায় ।

এর অন্য বিকল্প ভাবতে যাওয়া-ই দুঃখের নামান্তর ।

রাগ করো আর সুখে থাকো ।

No comments:

Post a Comment