23 Jun 2014

সমাজ-পাদ


বেশ কতকগুলো ঘটছিলো একসাথে । সীমার মধ্যে অসীমতা পুরো ঠুসে দেওয়া । কুসুমকে ঢিসুম করে ঘুষি মারা । দেড় বাই আধ চারদেওয়ালিতে তুমুল ড্রিবলিং । শেষমেশ ভট্ ভট্ করে পাদলাম । বিকট শব্দে ।

মনে করার চেষ্টা করছিলাম কি এমন খেয়েছিলাম যে পেছনের সরুদ্বার দিয়ে অমনি ল্যাজ গুটিয়ে পালিয়ে গেলো বেচারাটি । তার এই পালানোর ধরনধারণ খালিচোখে দেখা যায় না । আন্দাজ করতে পারি পলাতক একটি গৌণ নারীচরিত্র আর অনুভব করতে পারি তার শুধু ভয়ার্তনাদ যার চোটে পেছনের পর্দাটি একটু ফেটেও গেছে বোধ হয় ।

অনেক কষ্টে মানসচক্ষুদুটি মেলে দেখতে পেলাম এই ভিতু নিঃসরণকারিণীর ক্লিভেজে উঁকি মারছে কুসংস্কারাবিষ্ট ট্যাটু । কিন্তু কে শোনে? কে বা বোঝে এই দৈহিক সংস্করণবিবৃতি? স্রেফ কানফাটা শব্দে গোটা সমাজের ধড়মড়ানি কপালে জোটে ।

প্রাকৃতিকবাজ পড়লে এতটাও চমকায় না লোকে, শুধু আগেভাগে আলোর ঝলকানি পেয়ে দুইকান চেপে থাকে আর প্রাকৃতিক টানে সামাজিক অচেনা দূরত্ব ঘোচে । কিন্তু এই মানুষিকবাজ মাথার উপর থেকে পড়ার বদলে শুধু কোমরের নীচ থেকে পড়ে তাতেও কানদুটি ছাড় পায়, কিন্তু কমিশন পায় না কারু নাক । টিকালো নাক, ধাবড়ানো নাক, এমনকি নেই-নাক সব দুই আঙুলের চাপে চুপ মেরে যায় । সাথে তৈরী হয় সামাজিক অতিপরিচিত দূরত্ব ।

এই আত্মীয়তার খচখচানির মধ্যে কেউ কেউ অবশ্য-ই সহানুভূতি দেখায় আর জিজ্ঞাসুদৃষ্টি ফেলে এই বিয়োগাত্মক ঘটনাধীন মানুষের উপরে । ঠিক যেন বিবাহবিচ্ছেদ হলো এক্ষুনি । কেন- সে- পালিয়ে -গেলো- আমাকে -ফেলে -মার্কা প্রশ্নবাণে বিদ্ধ হয়ে চুপচাপ চলে যাই । বাজার থেকে এয়ার ফ্রেশনার কিনতে যাবো নাকি একলা ফ্রেশ এয়ার খেতে যাবো সেটা হয়তো ঠিক করে এই সমাজবাদ । আক্ষরিকার্থে সমাজ-পাদ ।

No comments:

Post a Comment