8 Sept 2015

হাফ-লিভিং ট্রাপিজিয়াম


অত বালবিচার না করে একটা দেওয়াল বেছে নিলাম । তার উপরে দুই হাত রেখে দাঁড়িয়ে থাকলাম । সারা শরীরের ভর হাতদুটির উপরে ছেড়ে দিলাম । দেওয়াল-হাত-আমি-মেঝে মিলে একটা ট্রাপিজিয়াম তৈরী হলো । বাড়তি বলতে আমার গলাসহ মাথা । হ্যাঁ গলাসহ । গলাকাটা মাথা দিয়ে হয়তো হাফ-লিভিং ট্রাপিজিয়ামটার মতো জিনিস বানানো সম্ভব হতো না কোনোদিন । সারামৃত্যু ট্র্যাপড্ হয়ে থাকার সত্যিই কোনো মানে হয় না । মৃত্যুরূপ জীবনক্ষুধার রয়্যাল্টি রয়্যাল চ্যালেঞ্জ দিয়েও মাপা যায় না । 

মাথাটাকে মেঝের দিকে ঝুঁকে ডান পা একটু তুলে দেওয়ালকে নিজের সমস্ত শক্তিদান করার চেষ্টা করলাম । দেওয়াল কিন্তু নিজেই একটা ধ্রুবক । জানি আমার এমন ঢ্যামনামিতে তার কিছু যায়ও না আসেও না । কিন্তু তাতে কী হয়েছে ! আমিও আমার খোলনলচেসুদ্ধ ঢ্যামনাঢ্যামনি নিয়ে এক ঊজ্জ্বল ধ্রুবতারা । যতই ঠেলা দিই ধ্রুবককে, ধ্রুবতারার মত জ্বলতে থাকি সমানুপাতিক হারে । রাতের আকাশের একধারে আসল ধ্রুবতারা দেখতে লক্ষ লক্ষ মানুষ ছাদের সিঁড়ি দুপদাপ করে ভাঙে, ঠিক তেমন এই নকলাধমকে দেখতে কেউ যদি ধানসিঁড়িটি চুপিসারে ভেঙে আসতো তো ভালো লাগতো ।

ক্রমেই বাড়তে থাকে । এই শক্তিবৃদ্ধির আরেক নাম হলো ফ্রাস্টুলেপনা । এর দিন নেই তো রাত থাকবে ? এর বিরাম নেই তো ব্যারাম থাকবে ? এর আরাম নেই তো হারাম থাকবে ? থাকবে না আবার ? আলবাৎ থাকবে । সব থাকবে বলেই তো কিছু আর বাকি থাকে না । শুধু হতচ্ছাড়া হাফ-লিভিং ট্রাপিজিয়ামটা একইভাবে পড়ে থাকে ।

No comments:

Post a Comment