12 Oct 2015

'আইস এজ'


সবে হাই ফেভার থেকে সেরে উঠেছে । এখনো বেশ দুর্বল । দুর্বলতার সামনে দিয়ে হেঁটে চলছে দুই অ-বন্ধু । ম্যানফ্রেড ও সিডনি । গুরুগাম্ভীর্যবাহী ম্যানফ্রেড তথা ম্যানিকে ফলো করতে করতে একসময়ে জিজ্ঞেস করলো সিড - "হোয়াটস্ ইওর প্রবলেম?", জবাবে ম্যানি একবিন্দুও না থেমে সোজাসুজি জানালো - "ইউ আর মাই প্রবলেম ।" বরফমাঠের উদ্দেশ্যহীনতা, শুকনো গাছগাছড়ার একাকীত্ব, ঝোড়োহাওয়ায় পাতার সহজে ছিঁড়ে যাওয়ার করুণত্ব, হারিয়ে যাওয়া একটি ফুটফুটে শিশুর অভিভাবকতা ঘিরে শত শত 'প্রবলেম' নিয়ে অ্যানিমেশন মুভি 'আইস এজ' । একেকটা প্রবলেমের সাথে জুড়ে থাকে এক বা একাধিক ফানি মোমেন্টগুচ্ছ । যেন মজাদার মুহূর্ত ছাড়াই প্রবলেমগুলো ঠিকঠাক ডিফাইন করা যায় না ।

ওষুধক্লান্ত দুর্বলতার সাথে জোটে খিলখিল হাসির দ্যুতি । অনেকটা এইরকম দ্যুতিময় আলো দেখেছিলাম সদ্যখোলা ফ্লাইওভারের দুধার ঘেঁষে । যদিও যাই নি ওদিকে । কারণ কেসটা প্রবলেমেটিক । সাতমাথার ক্রসিঙে সংকটময় অবস্থার খবর পড়লাম গতকাল আর আজ দুদিন পরপর । কাল থেকে নাকি শুরু হয়ে যাবে পাড়ায় পাড়ায় পূজো যা শুনে অনেক উদ্যোক্তার ভ্রু কুঁচকে যায়, "এতো দেখছি মহাঝামেলা" । আদেশ দিদির ছাড়া আর কারুর নয় । তার কাজ কেবল প্রবলেমবাজি করা । মাঝে মাঝে আপনমনে হেসে যাই এই ভেবে যে সুনীলের যুক্তিসিদ্ধ কর্ণপ্রীতির চেয়ে প্রকটিত হয়ে ওঠে কর্ণচরিত্র নিয়ে পাঠকসমাজের দু'পক্ষের মধ্যে 'আপনার সমস্যাটা ঠিক কোথায়' রেষারেষি । ফ্লাইওভার পেরিয়ে পার্কসার্কাস মোড়ে নামতে না নামতে দুই পক্ষ থেকে বেড়ে সাত পক্ষের গোলমাল শুরু হয়ে যায় । 

সর্বনাশ হয়েছে । ধোনি নাকি আর আগের মত খেলতে পারছে না । ভাবছি গোটাভারতের প্রতিনিধি হয়ে সিড্ যদি এগিয়ে ধোনিকে জিজ্ঞেস করে বসে - "হোয়াটস্ ইওর প্রবলেম?", তবে তার উত্তরে ধোনি কি সত্যিই সত্যিই একদিন ম্যানির মত সেই ম্যামথ টাইপের ছোবল মারতে পারবে যা দেখলে জনস্রোত আবার আগের মত সাতপক্ষ থেকে দুইপক্ষ থেকে একপক্ষে নেমে স্বাভাবিক ছন্দে চলতে শুরু করবে ? 

'আইস এজ'কে দুভাগে আলাদা করলে দাঁড়ায় আইস অর্থাৎ বরফ যার মানে ঠাণ্ডা কুল এবং এজ অর্থাৎ বয়স যা শুধু ক্রমবর্ধমান । ধোনি নিশ্চয়ই মুভিটা দেখেনি যা দুর্বলশরীর নিয়ে আমার ছেলে তিন-তিনবার দেখে ফেলেছে । এতে নিজের বা অন্য কার কোথায় কী প্রবলেম হবে বা হচ্ছে তাতে ছেলের ভারী বয়ে গেছে ।

No comments:

Post a Comment