প্রায়শ কেন । গালফোলানো ক্যানো । চোখজ্বালানো ক্যান্ । মুখখোলা দেখতে পেলে মারমুখো আছড়ে পড়ে কেন কেন করে । ঠোঁটচাপা থাকলে চারদিক থেকে হাত বের করে ক্যানো ক্যানো করে । বুকখানা একটা কবরখানা যেখানে কেন-রা ঘুরে বেড়ায় । কেউ বুক খুলতে চায় না বা দেয় না আপনজনদের ছাড়া । পাঁজরের একটা হাড় থেকে আরেক হাড়ে লাফিয়ে বেড়ায় কেন-রা । সে এক বিরামহীন লাফ । একটা লাফ ব্যর্থ হলেই বুক চেঁচিয়ে ওঠে ক্যান্ ক্যান্ করে । অদ্ভূতুড়ে সিরিজের চেয়েও উঁচুজাতের । সবকটি কেন ।
প্রশ্নের আগে পরে কেন থাকে না । প্রশ্নের সাথে হাত মেলায় সময়ের দুঃসময়ে আর অসময়ের সুসময়ে । বহুবার প্রশ্নাতীত হয়ে যায় । এদের কোনো ব্যাকগ্রাউন্ড নেই । দুপেয়ে বোহেমিয়ানরা কেন কেন করে না বোধ হয় । এই কেন-রা নিরাকারবাদী তাই প্রশ্নাকার ধারণ করে আর কেন কেন করে শাসন করে । মরামানুষের পিছু ছাড়ে না এরা । আত্মার সাথেও ঘুরে বেড়ায় তাই বিজ্ঞানীরাও কেন কেন করে । ধার্মিকরাও পাল্টাজবাবে কেন কেন মারে । বোমা মারে কেন কেন করে । খুন করে কেন কেন করে । উত্তরবিরোধী কেন-রা হাতজোড়ে বিজোড় হয়ে যায় । সবকটি কেন ।
এত কেন বা কেন ? কেন প্রয়োজন পড়ে বার বার ? তর্কপ্রিয় বলে ? এরা ভাঙে
তবুও মচকায় না ? রক্তচোষা সবকটিই কেন জীবনভর একটা উদ্দেশ্যহীন
চালিকাশক্তির মত কাজ করে যায় । যুক্তিবাদী কারণগুলো ও বাক্যহারা হয়ে আছে
এইসব কেন-এর নির্মম দাপটে ।
No comments:
Post a Comment