কি যে সকাল দেখলাম আজ সারারাস্তা । উঠতি কবি, পড়তি কবি, স্থিতি কবি সবার চোখে এই সকাল "আমার একটা নতুন নাম দাও হে কবিরা" গোছের আবদার নিয়ে হাজির । স্কুলড্রেসের মত কোনো ইউনিফর্ম নেই এ সকালের । অফিসকর্মীদের মত কোনো ফর্ম্যালিটি নেই এ সকালের । পথচলতি কয়েকটা অপ্রস্তুত ছাতা আর কিছু চলন্ত যানবাহন নিয়ে এ সকাল ।
নাম কী দেওয়া যায় বলো ? আমি নিদেন পড়তি হলেও কবি নই, তবু ওয়াইপার দুটি অনবরত ঘুরছিলো সামনে । এটা একটা ছন্দ যা চোখে ধরা দেয় না । চোখদুটো শুধু সকালের আলুথালু চেহারা জড়িয়ে ধরে ছিলো । যারা রোজকারের সকাল দেখে দিনের শেষে যায় নিষিদ্ধপল্লীতে, আজকের সকাল বোধ হয় তাদের কাউকে যেতে দেবে না । কারণ এ সকাল নিজে একটা নিষিদ্ধ সকাল ।
এমন সকালের একটা নাম দেওয়া উচিৎ । বাজারচলতি গণিকাদের চেয়েও অনেক অনেক ভালো নাম চাই । সেরকম সোঁদাগন্ধ পেলাম না এ সকালের স্তনে । এ সকালের বগলজুড়ে ফাঁকাবাড়ির ছাদ, কোথাও বা খোলা ঘাসকাটা বিস্তীর্ণ মাঠ । রং সবুজ নয়, সাদা নয়, হলুদ নয়, এমনকি ঝাঃ চকচকে মলের মত উজ্জ্বল রং নেই । আবছা ধূসররঙা বগলদুটি যার তার একটা নাম কী হতে পারে, বলো ? আমার গাড়ি কখনো ওই জায়গা দিয়ে যায় নি, আজকেও সম্ভব হয় নি ।
আমার মত করে নিশ্চয়ই অনেকে একই কথা ভাবছে । কে কী ভাবছে তা জানার কৌতুহল আমার নেই । কেউ কেউ হয়তো ইতিমধ্যে নামকরণ সেরে জল দিয়ে ধুয়ে ফেলেছে পাপী হাতমুখ ।
এদিকে আমি একটা নাম খুঁজছি এই অপাপবিদ্ধ সকালের জন্যে । সেই কখন থেকে খুঁজছি । কেউ সাহায্য করতে এলে খচে যাচ্ছি । কেউ গল্প করতে এলে বিরক্ত হচ্ছি । আজ একলা কাটাবো যতক্ষণ না নাম খোদাই করতে পারছি আমার এই স্নান না করা শরীরে । আমার এই শরীর সকালের শরীর থেকে আলাদা কিছু নয় ।
অন্তত আজ ।
No comments:
Post a Comment