হাসির পক্ষে স্বাস্থ্যকর এবং স্বাস্থ্যের পক্ষে হাস্যকর । ক্ষমতার কোনো বিকল্প নেই যেখানে নামে শুধু ক্ষ-এ ক্ষয়ে যায় । যবে হাতজোড় করে দীর্ঘযুদ্ধে পরাজিত দলের প্রতি ঊজ্জ্বল হাসিমুখে অভিবাদন জানালো, সবে থেকেই গোলমেলে । ধর্ষণ তো এমনিতেই বহুকাল সিলেবাসের বাইরে । যাদবপুরের উপাচার্যকে যেভাবে মাত্র আধ-ধমক দিয়ে তাড়িয়ে দিলো, তেমনি ওয়াই-ফাইয়ের 'দৌরাত্ম্য'কে ট্যাক্সির সাথে তাল রেখে অটোরিকশাতুল্য করে ফেলতে আধ-মিনিটও লাগে নি । তাকে প্রমাণছাড়া সারদাকাণ্ডের অন্যতম কন্ট্রোলার বললেও গণতন্ত্রের আঁতে ঘা লাগে না, বরং গণতন্ত্রের ইচ্ছানিচ্ছার অধিকারকে কখনো প্রাধান্য দিয়েছে বলে মনে পড়ছে না । কি যে করে বা কেন করে বা কিভাবে করে - এগুলো আজকাল হয়তো আর আলোচনার বিষয় নয়, হলেও কেউ মাথার একটাও চুল ছিঁড়তে রাজি হবে না ।
কিন্তু আগের সপ্তাহের রবিবাসরীয়তে স্বপ্নময় চক্রবর্তীর লেখা 'নামাবলী'
পড়তে পড়তে যে একটা বিবর্তনবাদের গন্ধ পেয়েছিলাম নামের মধ্যে (অবশ্যই কেবল
মানুষের নাম নিয়ে) সেটা ভীষণভাবে উগ্র হয়ে উঠে এসেছে বেশ কয়েকটা টাউনশিপের
নামকরণে । বোলপুর, কল্যানী, শিলিগুড়ির সাথে কলকাতার হার্দ্যিক সংযোগ যে
সামাজিক-আর্থিক-রাজনৈতিক সংযোগের চেয়েও বড়, সেটা এইসব টাউনশিপের এমন
বিবর্তিত নামাবলী দেখে মনে হওয়া অস্বাভাবিক নয় । সমস্যাটা কিন্তু এখানে
নয়, অন্য জায়গায় । সেটা হলো আপামর জনসাধারণের সাথে বসে তাদের মতামত নেওয়া ।
কারণ নতুন বছরের মুখে পড়ে আমরা অনেকে যেমন চেকে, ফর্মে, খাতায় পুরোনো বছর
লিখে ফেলি । অভ্যাস । তবে সামান্য । অ্যানুয়াল অভ্যাসের কোনো ভ্যালু নেই ।
জন্ম থেকে যারা একই শহরের নাম নিয়ে যে একটা 'অভ্যাস'-এর মধ্যে যেতে হয়েছে
সেই অভ্যাস যেই সেই নয় । একটা জিনগত ধারার মত যুগ-পরম্পরা যা মানুষের কোষে
কোষে মিশে থাকে । চেতনে অবচেতনে উপচেতনে শহরের নামগুলো ঘুরে বেড়ায় যেভাবে
মা সামনে না থাকলেও 'ও মা', 'কিছু ভাল্লাগছে না মা' কথাগুলো আপনা থেকে মুখ
ফস্কে বেরিয়ে আসে । এরকম স্বতঃস্ফূর্ততার কোনো মানসিক অঙ্গ থাকে না যেটা
নিয়ে আলাদা করে বসে কাজ করতে হয় বা ঝামেলায় পড়তে হয় । এবার থেকে বেশ
পরিশ্রম যাবে এইসব দিদিদত্ত নতুন নতুন নামের সাথে জীবনের স্বাভাবিকতা জুড়ে
দিতে । চিরাচরিত 'বিচ্ছেদ্য' সম্পর্কে গ্যালন গ্যালন আঠা ঠেলে 'অ' জুড়ে
দেওয়ার বিরক্তিকর প্রয়াস ।
এবারের পুরভোট দিই নি তো কি হয়েছে ?! বিধানভোট দিতে পারি হয়তো কিন্তু কাকে দেবো এখনো বুঝে উঠতে পারিনি । তবে এটা সিওর আমার মত হাজার হাজার মানুষের জিনগত অভ্যাস নিয়ে ওলটপালট করে এমন 'নিমিনিছি' খেলার জন্যে ক্ষমতার মমতা ফিরে পাওয়ার চান্স আরো একবার কমে গেলো । তলানিতে এসে ঠেকে ছিলো এতদিন ধরে, নেকস্ট তলানির এন্ট্রি পাস পেতে দেরি নেই ।
এবারের পুরভোট দিই নি তো কি হয়েছে ?! বিধানভোট দিতে পারি হয়তো কিন্তু কাকে দেবো এখনো বুঝে উঠতে পারিনি । তবে এটা সিওর আমার মত হাজার হাজার মানুষের জিনগত অভ্যাস নিয়ে ওলটপালট করে এমন 'নিমিনিছি' খেলার জন্যে ক্ষমতার মমতা ফিরে পাওয়ার চান্স আরো একবার কমে গেলো । তলানিতে এসে ঠেকে ছিলো এতদিন ধরে, নেকস্ট তলানির এন্ট্রি পাস পেতে দেরি নেই ।
No comments:
Post a Comment